কুকুর দিয়ে করোনা শনাক্তে ৯৫ শতাংশ সাফল্য
করোনার ক্ষেত্রে উপসর্গহীন মানুষরাই ভাইরাসটির বিস্তার ছড়ানোর জন্য অনেকটা দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তাদের দেহে দুই সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ দিন পর্যন্ত এ ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। আর তাই গণহারে করোনা পরীক্ষার জন্য কুকুরকে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে চলছে গবেষণা।
স্পুটনিকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এরকম একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সাফল্য পেয়েছেন। ফ্রান্সের একদল বিজ্ঞানী করোনা শনাক্তের জন্য ৮টি কুকুর ব্যবহার করেন। তাতে দেখা গেছে কারও দেহে করোনার উপস্থিতি আছে কি নেই তা শনাক্তে কুকুরগুলো ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে।
গবেষণাটি করেছেন ফ্রান্সের ন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্কুল অব আলফোর্ট-এর বিজ্ঞনীরা করোনা শনাক্তকরণের বিকল্প উপায়ের খোঁজে এই শনাক্তকরণ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চালান। কারণ বিশ্বব্যাপী করোনার প্রচলিত কিটের সংকট দূরীকরণের বিকল্প কিছু আসলে এই পরীক্ষা গণহারে সম্ভব হবে।
গবেষকরা মোট ৩৬০ জন মানুষের নমুনা (স্যাম্পল) ওই কুকুরগুলোকে দিয়ে পরীক্ষা করান। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এবং করোনা নেগেটিভ উভয় রকম মানুষের নমুনাই ছিল। তাদের চালানো গবেষণায় কুকুরগুলোর ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে তা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
কুকুরগুলোর কোভিড-১৯ রোগীদের শনাক্তকরণ সক্ষমতা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত আছে। গবেষকরা বলেছেন, কুকুরের সাহায্যে করোনা রোগী শনাক্ত করা হলে ল্যাব টেস্টের ফল আসার অনেক আগেই রোগী আক্রান্ত কিনা তা জানা যায়। ফলে দ্রুত চিকিৎসা শুরুর মাধ্যমে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরাও প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে করোনা রোগীর নমুনা এবং সাধারণ মানুষের নমুনার পার্থক্য প্রথমে কুকুরকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর কুকুরের সাহায্যে করোনা রোগী শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
এসএ