চীনে নতুন করে প্রাদুর্ভাবের তদন্ত হচ্ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৩ এএম, ১৬ জুন ২০২০

নতুন করে আরও শতাধিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় চীনে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনার প্রকোপ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে দ্বিতীয় দফায় ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রকট হয়ে উঠতে থাকায় কঠোর সব বিধিনিষেধ নতুন করে বহাল করছে চীন।

গত রোববার একদিনে নতুন করে ৫৭টি সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় বেইজিং; রাজধানী বেইজিংয়ে প্রায় দু’মাস কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত না হলেও গত চারদিনে সেখানে ৭৯ জন নতুন শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‌‌‘গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে সংক্রমণের নতুন একটি গুচ্ছের কথা জানায় চীন। যে শহর টানা ৫০ দিন রোগী শনাক্ত হয়নি সেখানে কয়েকদিন ১০০টিরও বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই প্রাদুর্ভাবের উৎস এবং এর মাত্রা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

দ্বিতীয় দফায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে সব দেশকে সতর্ক করে তেদ্রোস বলেন, ‘যে দেশগুলো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে বা যেসব দেশে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তাদেরও পুনরায় ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ ফের শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে চীন কর্তৃপক্ষ বেইজিংয়ের একাংশ ফের লকডাউন করেছে। ফেব্রুয়ারির পর থেকে বেইজিংয়ে নতুন করে করোনার সবচেয়ে বড় গুচ্ছ (ক্লাস্টার) সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

বেইজিংয়ের একটি বড় পাইকারি বাজার থেকে নতুন করে এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে সেখান থেকে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে শনিবারই বাজারটি বন্ধ করা হয়। বাজারটিতে গেছেন এমন সবাইকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।

শিনফাদি নামের ওই বাজারের প্রত্যেক কর্মী, ক্রেতা ও আশপাশের এলাকার সব বাসিন্দাদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ওই এলাকায় অন্তত ৪৬ হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং ইতোমধ্যেই ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় বেইজিংয়ের বহু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খেলার মাঠ বন্ধ করা ছাড়াও প্রাথমিক স্কুলগুলো খোলার সময় পিছিয়েছে। শপিংমল ও অফিসগুলোতে আবার বহাল করা হয়েছে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার বিধি। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞাও ফের চালু হয়েছে।

শুধু বেইজিংই নয়, সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে এর বাইরেও। লিয়াওনিং, হেবেই এবং সিচুয়ান প্রদেশে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর এসেছে। চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিংয়ে রোববার দুইজন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কমিশন।

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।