নতুন ‘এয়ার শিল্ড’ পারবে করোনা প্রতিরোধ করতে?
প্লেনের এয়ার ভেন্টের সঙ্গে খুবই সাধারণ একটি ডিভাইস যুক্ত করলে তা যাত্রীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। থ্রি-ডি প্রিন্টারে তৈরি বস্তুটি যাত্রীদের প্রতিটি সিটের ওপর বসানো থাকবে। এটি থেকে বের হওয়া দ্রুতগতির বাতাস আশপাশে করোনাভাইরাস থাকলে তা থেকে যাত্রীকে সুরক্ষা দেবে। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে সিয়াটলভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি টিগ।
সাধারণত প্লেনের যাত্রী ইউনিটের প্রতিটিতে বই পড়ার জন্য লাইট ও বাতাসের জন্য ভেন্ট থাকে, যাদের এয়ার গ্যাসপার বলা হয়। এটি দিয়ে সরাসরি যাত্রীর গায়ের ওপর বাতাস প্রবাহিত হয়। যাত্রীরা যেভাবে আলো জ্বালাতে-নেভাতে পারেন, সেভাবেই ভেন্টের বাতাসের গতিও কমাতে-বাড়াতে পারেন।
এয়ারশিল্ডের কাজ হচ্ছে যাত্রীর শরীরে যে বাতাস যাবে, তার গতিবৃদ্ধি করে আশপাশে ‘দূষিত বায়ু’ থাকলে তা কাছে ঘেঁষতে না দেয়া।
টিগের এয়ারলাইন এক্সপিরিয়েন্সের সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্থনি হার্কাপ বলেন, ‘অনেকেই বুঝতে চান না, প্লেন হচ্ছে অন্যতম সুরক্ষিত জায়গা যেখানে আপনি থাকতে পারেন।’
সাধারণত প্লেনের যাত্রী কেবিনের ওপর দিয়ে যে বাতাস প্রবাহিত হয় না নিচের ভেন্ট টেনে নেয়। সেখানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শোষক কণার (এইচইপিএ) মাধ্যমে ওই বাতাস বিশুদ্ধ করা হয়। এতে বাতাসের ৯৯ দশমিক ৯০ শতাংশ জীবাণু বিনষ্ট হায়ে যায়। অর্থাৎ গ্যাসপার দিয়ে যে বাতাস প্রবেশ করছে তা অনেকটাই বিশুদ্ধ।
হার্কাপ বলেন, ‘এমন কিছু সমস্যা সমাধানে বিশাল সমর্থন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা পাচ্ছি। আমরা জনসাধারণকে আকাশভ্রমণে ফেরানোর চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, যত দ্রুত আকাশভ্রমণে মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ফেরানো যাবে, এ শিল্পের জন্য সেটা তত ভালো হবে।’
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/এমএস