কোভিড-১৯ সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা শিখলেন চিকিৎসকরা
প্রায় ছয় মাস ধরে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস। অতিক্ষুদ্র এ ভাইরাসের আক্রমণে ইতোমধ্যেই মারা গেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে কোটির ঘর। এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট ওষুধ বা প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি এ অসুখের। তবে, জানা গেছে বেশ কিছু অমূল্য তথ্য।
কোভিড-১৯ বিষয়ে চিকিৎসকরা এ পর্যন্ত কী কী শিখলেন তার ছোট একটি তালিকা করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। একনজরে দেখে নেয়া যাক সেগুলো-
>> করোনায় আক্রান্ত রোগীরা রক্ত জমাট বাঁধার মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকেন। এক্ষেত্রে রক্ত পাতলাকারী রাসায়নিকগুলো সাহায্য করতে পারে।
>> রোগীকে উঁপুড় করে শোয়ানো বা প্রোনিংয়ের ফলে ফুসফুসের ওপর চাপ কমে। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসে যান্ত্রিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা রোধ করতে পারে।
>> শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস ছাড়াও করোনাভাইরাস হৃদপিন্ড, লিভার, কিডনি, মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও আক্রমণ করতে পারে।
>> কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর দেখা গেছে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ডেক্সামেথাসোন এবং সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের দান করা প্লাজমা ব্যবহার।
>> বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা এবং দ্রুততম সময়ে ফলাফল দেয়া হাসপাতালে রোগীদের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
>> বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তথ্য শেয়ার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
>> প্রতিরোধও জরুরি। সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার বিষয়ে জনগণের ওপরই নির্ভর করছেন চিকিৎসকরা।
যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা-
> কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসা কাজে দেবে?
> কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, বিশেষ করে রেমডেসিভির- কত দ্রুত ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হবে?
> কোভিড-১৯ রোগীদের সুস্থ হতে ঠিক কতটা সময় লাগে?
> সংক্রমণের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া কী?
এ বিষয়ে নিউ মেক্সিকোর রিহোবথ ম্যাকিনলে ক্রিশ্চিয়ান হেলথ কেয়ার সার্ভিসেসের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভ্যালোরি ওয়াংলার বলেন, ‘আমাদের সেরা শিক্ষা যদি হয় রোগীকে চিৎ করা থেকে উপুড় করে শোয়ানো, তার মানে আমরা কোনও অলৌকিক নিরাময় থেকে বহু দূরে রয়েছি।’
কেএএ/জেআইএম