ঘরে বসেই করোনা পরীক্ষা, ফল মিলবে এক ঘণ্টাতেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২০

অডিও শুনুন

প্রাণঘাতী করোনার পরীক্ষা আরও সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। করোনার 'নেক্সট জেনারেশন টেস্ট' নিয়ে কাজ চলছে। এর মাধ্যমে এক ঘণ্টারও কম সময়ে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। তবে এতে ভারী কোনো যন্ত্রাংশ বা খুব বেশি প্রশিক্ষিত কোনো কর্মীর প্রয়োজন হবে না। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বা বাড়িতে বসেই এই পরীক্ষা করা যাবে। বর্তমানে করোনার টেস্টের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, নাকের অনেক ভেতর থেকে বা মুখ ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় যা অনেকের কাছেই অসস্তিকর। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল পেতেও বেশ কিছুদিন সময় লাগে।

এছাড়া বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় এমন যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা চালানোটাও অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এগুলোর ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ভুল ফলাফল প্রদান করে থাকে।
তবে গবেষকরা নতুন যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন সেগুলো অনেক বেশি সঠিক ফলাফল দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে এগুলোর বেশির ভাগই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেও এগুলো কোনো ক্লিনিক বা চিকিৎসাকেন্দ্রে সহজলভ্য হচ্ছে না। তিন ধরনের পরীক্ষার বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। এই সবগুলোই বর্তমানের পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে ভিন্ন এবং আরও সহজ হবে। শুধু তাই নয়, এগুলো পরীক্ষার ফলাফল প্রদানেও অনেক কম সময় নেবে বলে জানানো হয়েছে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. জেভ উইলিয়াম বলেন, এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে আমাদের আরও ব্যাপকভাবে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। একই সঙ্গে ফলাফলও কম সময়ে হাতে আসতে হবে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই যেন করোনার পরীক্ষা এবং এর ফলাফল পাওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন।

এদিকে, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির ডা. অমেস আদালজা বলেন, খুব দ্রুত ও সহজেই করোনার পরীক্ষা চালানো সম্ভব। নতুন এই গবেষণা কাজ শেষ হলে বিশ্বজুড়ে করোনা পরীক্ষা আরও সহজ ও দ্রুত হবে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।