করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল পশ্চিমবঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ০৪ আগস্ট ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৩১ জনে। এই সময়ে করোনা মিলেছে দুই হাজার ৭১৬ জনের দেহে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ২১ জন করে মারা গেছেন। এই দুই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৭৫৬ ও ৫১০ জন। আক্রান্তের সংখায় এরপরের জেলাগুলো হলো হাওড়া (১৮৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৪৪) ও হুগলি (৯১)।

সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে মোট দুই হাজার ৭১৬ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮ হাজার ২৩২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪ হাজার ৮১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যাটা দুই হাজার ৮৮ জন। আর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ২১ হাজার ৬৮৩ জনের। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭০.০৭ শতাংশ।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ভারতে। গত শনিবার ও রোববার দেশটিতে যথাক্রমে ৫৭ হাজার ও ৫৫ হাজার সংক্রমণ ঘটে। তবে সেই সংখ্যা সোমবার নেমে আসে ৫৩ হাজারে।

এর মধ্য দিয়ে ভারতে ১৮ লাখ পার হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বেড়েছে সংক্রমণ হার। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষাও হয়েছে গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৯৭২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৭ হাজার ৫১১ ও ২৫ হাজার ৮০০।

এ হিসাবে আক্রান্তের নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলকে পেছনে ফেলল ভারত। এই বৃদ্ধির জেরে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ১৮ লাখ তিন হাজার ৬৯৫ জন। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ও প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকায় ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার।

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।