করোনা: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯০৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনায় একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে বুধবার। এই সময়ে দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৯০৪ জন। এ নিয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে আরও ৫৬ হাজার ২৮২ জন আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৬ জনে পৌঁছেছে।

সংক্রমণের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৩ হাজার ৫২৪ ও ৫৭ হাজার ১৫২ জন। সংক্রমণের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৮ লাখ ২৩ হাজার এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ২৮ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি।

মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতে করোনায় মৃত্যু ৪০ হাজার ৬৯৯ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত ৩০ দিনেই মারা গেছেন ২০ হাজার মানুষ। দেশটিতে করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র প্রদেশ। এই প্রদেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪৭৬ জন। এছাড়া রাজধানী নয়াদিল্লিকে পেছনে ফেলে মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তামিলনাড়ু প্রদেশ। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট মৃত চার হাজার ৪৬১ জন। তবে নয়াদিল্লিতে সেই সংখ্যা চার হাজার ৪৪ জন।

আনন্দবাজার বলছে, জুলাইজুড়েই মৃত্যু বেড়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কর্নাটক। সেখানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৮০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাটে ২ হাজার ৫৫৬, উত্তরপ্রদেশ ১ হাজার ৮৫৭, পশ্চিমবঙ্গ ১ হাজার ৮৪৬ ও অন্ধ্রপ্রদেশে ১ হাজার ৬৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

গত ১৪ দিনে দেশটিতে করোনায় সুস্থতার হার ৬৩ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশটিতে এখনও প্রায় ৬ লাখ করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এছাড়া ভারতে বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর হার ২ দশমিক ০৯ শতাংশ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।