নতুন করে সংক্রমণ, নির্বাচন পেছানোর দাবি নিউজিল্যান্ডে
নতুন করে করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা জুডিথ কলিন্স। দেশটিতে নতুন করে চারজনের দেহে করোনা শনাক্ত করা গেছে। খবর বিবিসির।
এদিকে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই দেশটিতে আবারও লকডাউন জারি করা হয়েছে। এরপরেই পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার অকল্যান্ডের একটি পরিবারের চার সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর আগে টানা ১০২ দিন নিউজিল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে কোনো সংক্রমণের ঘটনা জানা যায়নি।
আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন হওয়ার কথা। বিরোধী ন্যাশনাল পার্টির নেতা জুডিথ কলিন্স বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে করোনাভাইরাসের নতুন যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তার পূর্ণাঙ্গ প্রভাব বিবেচনা করে দেখতে হবে।
অপরদিকে, দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার প্রথম স্থানীয় সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই দেশটির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে খাবার ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী কিনতে সুপারমার্কেটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। একই সঙ্গে টানা টানা তিন মাস কোনো সংক্রমণ ধরা না পড়ায় রীতিমত সবাইকে অবাক করে দিয়েছে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দেশ।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের এই সফলতা বিশ্বজুড়েই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। সারাবিশ্বেই করোনার তাণ্ডব চললেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর এই দেশটি থেকে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু সম্প্রতি সংক্রমণ ধরা পড়ায় আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলো।
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৯। এর মধ্যে মারা গেছে ২২ জন। অপরদিকে, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৫৩১ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে গেছে।
টিটিএন/পিআর