সফল নিউজিল্যান্ডেও সংক্রমণ বাড়ছে করোনার
অডিও শুনুন
দেশের সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ড লকডাউন করার একদিন পর করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হিসেবে বিবেচিত নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ১৪ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শতাধিক দিন কোনো রোগী না থাকার পর সম্প্রতি দেশটিতে নতুন করে দেখা দেওয়া সংক্রমণের হারও এখন ঊর্ধ্বমুখী।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন জুনের শুরুতে দেশ করোনা মুক্ত বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। গত মে থেকে টানা ১০২ দিন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও ১১ আগস্ট ফের শুরু হয় প্রাদুর্ভাব। এরপর দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়ছে। পুনর্বহাল হয়েছে এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।
তিন মাসের বেশি সময় পর এ সপ্তাহের শুরুতে হঠাৎ করে একটি পরিবারের চার সদস্যের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হলে দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়। নতুন করে যেসব মানুষের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে ১৩ জনই ওই পরিবারের।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি তার ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছি। এই পরিস্থিতি আমাদেরকে জরুরিভিত্তিতে মোকাবিলা করতে হবে। তবে সেটা হতে হবে ঠান্ডা মাথায় এবং পদ্ধতিগত উপায়ে’।
বিবিসি এক অনলাইন প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, নতুন করে যাদের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তাদের সবাইকে এখন কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন অনেককেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আগাম সতর্কতা থেকে শুরু করে নানা রকম সাহসী ও কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। নতুন করে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশটি পূর্বের মতো মানুষের চলাচলসহ সামাজিক দুরত্ববিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ফের আরোপ করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে শনাক্ত রোগী এক হাজার ৫১৯ জন। আক্রান্তদের এক হাজার ৫৩১ জন সুস্থ; মারা গেছেন ২২ জন। দেশটিতে এখন সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬। প্রধানমন্ত্রী আর্ডান বলছেন, নতুন এই সংক্রমণ কমার আগে এর হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হবে।
এসএ/এমকেএইচ