সপ্তাহে চারদিন কাজের নিয়ম পরীক্ষা করছে ইউনিলিভার

কর্মীদের কাজের আগ্রহ এবং গতি বাড়াতে সপ্তাহে চার কর্মদিবস পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করছে বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভার। নিউজিল্যান্ডে সংস্থাটির বেশ কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দিয়ে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফল মিললে ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবেই চারদিন কাজের নিয়ম চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউনিলিভারের লিপটন চা, ডাভ সাবান এবং বেন অ্যান্ড জেরির আইসক্রিম বিতরণকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডে তাদের সব কর্মীকে সপ্তাহে চারদিন কাজ এবং বাকি তিনদিন ছুটি কাটানোর সুযোগ দেয়া হবে। সপ্তাহের কোন চারদিন কাজ করতে চান, সেটিও তারাই বেছে নিতে পারবেন।
চলতি ডিসেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে ইউনিলিভারের পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রম, চলবে টানা এক বছর।
লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে তাদের ৮১ জন কর্মী রয়েছেন। আগামী এক বছর তারা সপ্তাহে চারদিন কাজ করেও পুরো মাসের বেতন পাবেন। তাদের কাজের অবস্থা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সিডনি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউনিলিভার বলেছে, সব ঠিকঠাক থাকলে, অর্থাৎ, কর্মীরা সপ্তাহে চারদিন কাজ করার ফলাফল যদি ইতিবাচক হয়, তবে আরও বড় পরিসরে এ পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
নিউজিল্যান্ডে অবশ্য সপ্তাহে চার কর্মদিবস চালু করা প্রথম প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার নয়। ২০১৮ সালে ‘পারপিচুয়াল গার্ডিয়ান’ নামে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ওপর দুই মাসব্যাপী এ পরীক্ষা চালিয়েছিল। ভোক্তাদের সম্পত্তি ও উইল দেখভাল করা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের ওই পরীক্ষা এতটাই সফল ছিল যে, পরে তারা সেটি স্থায়ী করে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নও মনে করেন, করোনা মহামারির আঘাত থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চার কর্মদিবস পদ্ধতি ইতিবাচক ফল আনতে পারে।
এর আগে, জাপানে মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট আগস্টের প্রতি শুক্রবার অফিস বন্ধ রাখা এবং কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে একদিন বেশি ছুটি দেয়ার পরীক্ষা চালিয়েছিল।
তাদের পরীক্ষার ফলাফলও ছিল দারুণ আশাব্যঞ্জক। দেখা গিয়েছিল, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর কর্মীদের কর্মোদ্দীপনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
এটি দেখে জাপানে এ ধরনের আরও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেয় মাইক্রোসফট এবং অন্য বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানায়।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/পিআর