জাতিসংঘে গাঁজা নিয়ে ভোট

গাঁজা নিয়ে ভোট হলো জাতিসংঘে। কঠিন ড্রাগের তালিকা থেকে মুক্তি পাওয়ায় এখন ওষুধ তৈরির গবেষণায় ব্যবহার করা যাবে গাঁজা। ফলে এতদিন গাঁজাকে যে ধরনের মাদকের তালিকায় রাখা হতো, সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এ বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেয়ার আবেদন জানিয়েছিল বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে বুধবার এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। একটি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। বাকি দেশগুলোর মধ্যে ২৭টি দেশ পক্ষে এবং ২৫টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি পাস হয়।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্তাবের পক্ষে থাকা ২৭ দেশ গাঁজাকে কঠিন ড্রাগ হিসেবে চিহ্নিত করার বিরোধী। ২৫টি দেশ পক্ষে। ফলে জয় হয় গাঁজার। এতদিন ড্রাগের চতুর্থ তালিকায় ফেলা হতো গাঁজাকে।
ওই একই শিডিউলে হেরোইন, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ড্রাগও রয়েছে। এ ধরনের ড্রাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, গাঁজাও ওই একই তালিকায় থাকায় গাঁজা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় সমস্যা হচ্ছে।
গাঁজা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি সম্ভব। কিন্তু কঠিন ড্রাগের তালিকায় থাকায় তা করা যাচ্ছে না। তারপরই এই ভোটাভুটির ব্যবস্থা হয় জাতি সংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে।
এতে গাঁজাপ্রেমীদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। এখনো মাদকের তালিকায়ই রাখা হয়েছে গাঁজা। সাধারণের ব্যবহারের জন্য সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়নি। কেবল ওষুধ তৈরির জন্য কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে মাত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ গাঁজা বা গাছের রস থেকে তৈরি চরস সেবন করলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত নেশা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
ডিডাব্লিউ/এমআরএম/জেআইএম