৩৪ ঘণ্টায় উ. কোরিয়া থেকে দেশে ফিরলেন রাশিয়ার ৮ দূতাবাস কর্মী

৩৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আট রুশ দূতাবাস কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ওই কর্মীরা পিয়ংইয়ংয়ে রুশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাদের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে এক দূতাবাস কর্মী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি রেল লাইন ধরে হেঁটে আসছেন। সে সময় তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ব্যাগবোঝাই একটি ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এভাবে ট্রলি ঠেলে রেললাইন ধরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিক্রম করে রাশিয়ায় পৌঁছান তারা। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দেশের ফেরার জন্য রুশ দূতাবাস কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আর কোনো উপায় ছিল না।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই অন্য দেশের সঙ্গে বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে দেশটি দাবি করে আসছে যে, তাদের দেশে একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি। চীনের সঙ্গে সীমান্ত থাকার পরেও উত্তর কোরিয়ার করোনা শূণ্য থাকার বিষয়টিকে অসম্ভব বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এতদিন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের দূতাবাসগুলোতে অল্প সংখ্যক কর্মী কাজ করেছেন। তাদের রাজধানীর বাইরে যাওয়ারও অনুমতি দেয়া হয়নি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স এয়ার কোরিয়া দু'দেশের মধ্যে বিমান চলাচল পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে মাসের পর মাস বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
Как заявили в МИД, дипломаты 32 часа ехали на поезде, затем еще два часа на автобусе до границы и затем — километр пешком с помощью дрезины.
— Новая Газета (@novaya_gazeta) February 25, 2021
https://t.co/jc6KmEOxhx
Видео: МИД России pic.twitter.com/K8UPWUrKev
রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ওই রুশ কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশ ত্যাগ করার জন্য এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
প্রথমে তারা ট্রেনে করে যাত্রা শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা ধরে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের পুরোনো ট্রেনে করে তাদের ভ্রমণ করতে হয়েছে। এরপর দুই ঘণ্টা বাসে যাত্রা করে তারা সীমান্তে পৌঁছান। সেখানে একটি ট্রলির ব্যবস্থা করে বাকি পথ তারা হাঁটতে থাকেন।
রাশিয়ার খাসান স্টেশনে পৌঁছানোর পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। ওই কর্মকর্তাদের সহায়তায় তারা ভ্লাদিভোসতোক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
টিটিএন/এএসএম