প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি

করোনা মহামারি চলা সত্ত্বেও ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম ও ভোক্তাদের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার কারণে দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে ডিডিপি (মোট দেশীয় পণ্যের উৎপাদন) বেড়েছে ছয় দশমিক নয় শতাংশ। যা প্রত্যাশিত পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।
বেসরকারি খাতে উদ্ভাবনমূলক বিনিয়োগ, ভোক্তা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়ায় দেশটির জিডিপি তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চতুর্থ প্রান্তিকের চমকে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপি হয় পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ। ১৯৮৪ সালের পর শক্তিশালী গতি দেখেছে দেশটির জিডিপি।
মূল্যস্ফীতিতে রেকর্ড গড়ার পরই দেশটি থেকে প্রবৃদ্ধির এমন খবর এলো। জানা গেছে, গত বছর ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ বিপর্যয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। ফলে ৪০ বছরে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) সবোর্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) বাড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ১৯৮২ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ।
দেশটিতে জ্বালানির দাম বাড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশ, অন্যদিকে সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি, ভাড়া ও খাবারের দামও বাড়ে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে খাদ্যের দাম বাড়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ফলমূল ও শাকসবজি, মাংস ও বেকারি পণ্যের দাম বাড়ার কারণে বাড়িতে তৈরি খাবারের দাম বাড়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া বাড়ির বাইরে রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ে।
এমএসএম/জেআইএম