শ্রীলঙ্কায় পেট্রলের লিটার ৪২০ রুপি, ডিজেল ৪০০

অর্থসংকট কাটাতে শ্রীলঙ্কায় আবারও বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে এক লিটার পেট্রল কিনতে লাগছে ৪২০ রুপি (১০৩ টাকা প্রায়) এবং ডিজেলে ৪০০ রুপি (৯৮ টাকা প্রায়)। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর বেড়েছে বাসভাড়াও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় পেট্রলের দাম একলাফে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ডিজেলের দাম ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। গত দেড় মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালো শ্রীলঙ্কা।
নতুন নির্দেশনা অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় এক লিটার পেট্রলের (৯২ অকটেন) দাম বাড়ানো হয়েছে ৮২ রুপি (৩৩৮ রুপি থেকে হয়েছে ৪২০ রুপি)। অটো ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ১১১ রুপি (২৮৯ রুপি টাকা থেকে ৪০০ রুপি) এবং সুপার ডিজেলের দাম বেড়েছে ১১৬ রুপি (৩২৯ রুপি থেকে ৪৪৫ রুপি)।
লঙ্কান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা থেকে তেলের নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, দেশটিতে জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং বিদ্যুৎ সংকট নিয়ন্ত্রণে জনগণকে বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে। সরকারি কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নির্দেশনা পেলেই কেবল অফিসে গিয়ে কাজ করবেন।
(3) Public sector workforce will be called to work on the direction of the head of the institute from today. Work from home will be encouraged to minimize the use of fuel and to manage the energy crisis. pic.twitter.com/JVKrmSYnoc
— Kanchana Wijesekera (@kanchana_wij) May 23, 2022
এদিকে, পেট্রল-ডিজেলের নতুন দর কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৯ শতাংশ। দেশটির ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট কমিশনের (এনটিসি) মহাপরিচালক কমান্ডার (অব.) নিলান মিরান্ডা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, গণপরিবহনে ন্যূনতম ভাড়া ২৭ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৩২ রুপি করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২ হাজার ২২ রুপি থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪১৭ রুপি।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, শ্রীলঙ্কায় তেলের দাম ও গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ায় খাদ্য ও পরিবহন খরচ আরও বেড়ে যাবে। দেশটিতে এমনিতেই গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এক মাস আগেও সেখানে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।
অর্থনীতির এমন নাজুক এমন পরিস্থিতির জন্য লঙ্কান সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। গত সপ্তাহেও কলম্বোয় বিক্ষোভে নামা কয়েকশ শিক্ষার্থীর ওপর টিয়ারগ্যাস, জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পর তার ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগ দাবি করছেন।
কেএএ/এএসএম