পি কে হালদারের অর্থপাচার: পূর্ণিমা মৈত্রকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

পি কে হালদারের অর্থপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পূর্ণিমা মৈত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে আইনজীবী আলী হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দপ্তরে যান তিনি।
পূর্ণিমার স্বামী স্বপন মৈত্রকে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি।
এদিন ইডি দপ্তরের সামনে পূর্ণিমা মৈত্র সাংবাদিকদের জানান, তাদের ফাঁসানো হয়েছে। তবে দুদকের মামলা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
এর আগে গত শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে ইডির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে পূর্ণিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং নোটিশ ইস্যু করতে যায় ইডির কর্মকর্তারা। কিন্তু বাড়িতে কেউ না ছিল না। তালাবদ্ধ বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ লাগিয়ে দেন। ওই নোটিশে ২৯ জুন সল্টলেকে ইডির পূর্বাঞ্চলীয় সদরদপ্তরে দেখা করতে বলা হয় পূর্ণিমাকে।
হাজিরা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি, ব্যাংকের পাসবই এবং বারাসাতে তাদের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয় তাকে।
সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে আজ ইডি দপ্তরে যান পূর্ণিমা।
নির্দিষ্ট অভিযোগের গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর তাদের আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে তিনদিনের এবং পরে আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
ইডি এরই মধ্যে তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও মোবাইল উদ্ধার করেছে।
ইডি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এ পর্যন্ত ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ৪০টি স্থাবর সম্পত্তি, ৬০ কোটি টাকার ব্যাংক আমানতের প্রমাণ এবং মালয়েশিয়াতে সাতটি বাড়ির হদিস পায়।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে জেল হেফাজতে আছেন পি কে হালদার।
ইএ/এমএস