পশ্চিমবঙ্গ

রাত দখল কর্মসূচির সময় ভাঙা হলো ভাষা শহীদদের ভাস্কর্য

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪

সরকারি আর.জি.কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যায়নরত নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথের মৃত্যুর ঘটনার পর গোটা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) পুরো দেশের পাশাপাশি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছিল নারীদের রাত দখল কর্মসূচি। প্রতিবাদ জানাতে স্বাধীনতার আগের দিনে রাজ্যজুড়েই রাত দখলে শামিল হয়েছিলেন নারীরা।

আরও পড়ুন>

নারীদের রাত দখল কর্মসূচির সময় কলকাতা আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে কলকাতা পুলিশ তা সামাল দেয়।

সংঘর্ষ চলছিল ঠিক সে সময় উত্তর কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই বেলেঘাটা সিআইটি রোডে অবস্থিত বাংলা ভাষা শহীদদের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।

যেখানে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় সমগ্র উত্তর কলকাতার মানুষেরা, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এই ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে বিজেপি ও বামপন্থিদের মদত রয়েছে। তারা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।

বেলেঘাটা সিআইটি রোডের সাবেক তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাস জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। বাম ও বিজেপি বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। ছাত্রী হত্যায় আমরা সবাই মানবিকভাবে ভেঙে পড়েছি। যে কারণে প্রতি বছর আমরা ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত করলেও এবার করিনি। গত রাতের ঘটনা আমরা লক্ষ্য রাখছিলাম।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুর করে বের হওয়ার সময় বাম ও বিজেপি সমর্থকেরা ভাস্কর্যটি ভেঙে দিয়ে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। কলকাতা পুলিশকে পুরো ঘটনাটা জানিয়েছি। এটা পুরো বাঙালি জাতির লজ্জা। যারা এই কাজ করেছে তাদের কঠোরতম শাস্তি চাই।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে ধর্নায় বসে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।