দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ৪ সেনা নিহত
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। সেখানে ১২ দিন ধরে যুদ্ধবিরতি চলছে। তারপরেও সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ইসরায়েল। তবে রোববার এসব সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা সবাই একই ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।
এর আগে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই বিমানবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ওই হামলা চালানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, নীতি অনুসারে ইসরায়েলে কোনো বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন সক্রিয় করা হয়নি।
সামরিক বাহিনী এই ঘটনা সম্পর্কে আর কোনো তথ্যও দেয়নি। ক্ষেপণাস্ত্রের ধরণ, এটি কতদূর পর্যন্ত আসতে সক্ষম হয়েছে বা এটি কোন এলাকায় ধ্বংস করা হয়েছে এসব বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এছাড়া এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না সেটাও নিশ্চিত নয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকেই ইসরায়েল এবং লেবানন সীমান্তও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এদিকে গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং কয়েক মাসের তদন্ত ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লিখিত আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ী গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে তারা।
- আরও পড়ুন:
- আসাদের পতন মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেবে?
- দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ
- সিরিয়ায় আইএসের ৭৫ ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের নিষিদ্ধ পাঁচটি কাজের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের জীবনযাত্রাকে মানবেতর করে তুলেছে।
টিটিএন