করোনায় আদালত কীভাবে চলবে সিদ্ধান্ত হবে মিটিংয়ে : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। বতর্মানে উচ্চ আদালতে অবকাশ চলছে। বিচারপ্রার্থীসহ সবার বিষয় চিন্তা করে অবকাশের পর আদালত কীভাবে চলবে, এ ব্যাপারে আমরা সব বিচারপতি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ফোয়ারার পাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে আদালত পূর্ণ বন্ধ থাকবে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা বলেছেন করোনাভাইরাস নিয়ে। আমরা এটা নিয়ে সচেতন। আমরা সব জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেব, এ নিয়ে কী করা যায়। আপাতত কোর্ট বন্ধ আছে। কোর্ট খোলার আগেই আমরা সবাই একবার বসব। মানুষ ও বিচারপ্রার্থী জনগণ যারা আছেন, তাদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছু খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোর্ট খোলার আগেই সিদ্ধান্ত নেব। তখন এটা আপনাদের জানানো হবে।’
নিম্ন আদালতের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নিম্ন আদালত তো সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। সুতরাং আমরা সব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেব। কারণ হাজার হাজার লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী মানুষের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে। কোর্ট পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে। অনেকে জরুরি বিষয়াদি নিয়ে আদালতে আসেন। সুতরাং এগুলো নিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব, সবাই বসে একসঙ্গে।’
এর আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন হবে নিম্ন আদালত, সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালতে। এটা বছরব্যাপী হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী হবে।’
প্রথমেই প্রধান বিচারপতি ‘কুরচি’ নামে একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ‘কাঞ্চন’ বৃক্ষ রোপণ করেন। ‘বকুল’ রোপণ করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ‘পলাশ’ রোপণ করেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, ‘শিমুল’ রোপণ করেন বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী, আর ‘শিউলি’ রোপণ করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয় গত রোববার থেকে। চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত।
এফএইচ/জেডএ/এসআর/এমকেএইচ