কোর্ট বন্ধ না খোলা থাকবে, জানা যাবে শনিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ এএম, ২৯ মে ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঘোষিত সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল আদালতের সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে শনিবার। ওইদিন প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন। সেখানে জানা যাবে, কোর্ট আরও বন্ধ না খোলা থাকবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সমন্বয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে শনিবার বিকেল ৩টায় ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্রে জানা গেছে, সভায় করোনার সংকটময় মুহূর্তে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে নাকি খোলা থাকবে- সে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন।

এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ১৪ আইনজীবী সীমিত পরিসরে দু-একটি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। করোনা নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে একটি বেঞ্চ গঠনে অপর দুই আইনজীবীও চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও প্রধান বিচারপতি বরাবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিকভাবে জজ কোর্ট খোলার আবেদন করেন।

গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ পরিস্থিতিতে কঠোর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য ছুটিকালীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। তাছাড়া ছুটিকালীন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অতি জরুরি বিষয়গুলো শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

অপর বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তাহে দুদিন জজ কোর্টও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এ দুই বিজ্ঞপ্তি জারির পর আইনজীবীরা কোর্ট চালু না করতে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীকালে ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টের শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে উচ্চ আদালতসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারকাজ অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উচ্চ আদালতে রিট, ফৌজদারি ও কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের অধীনে আবেদনের বিচারকাজ এবং নিম্ন আদালতে শুধু জামিন শুনানি চলছে।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।