সব আদালতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সব আদালত প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, প্রতিটি কোর্ট রুমের সামনে থার্মোমিটার, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, সাবান ও হাত ধোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ সারাদেশে কোর্ট পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে বুধবার (৩ জুন) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেন।
আইন মন্ত্রণালয় সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সচিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সেক্রেটারিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, রিট আবেদনের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা হয়তো কখনোই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না। আগামী ১৫ জুন কোর্ট খুলে গেলে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী কোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত হবেন। ফলে, দেশের কোর্ট প্রাঙ্গণই হয়ে যেতে পারে করোনার নতুন হটস্পট।
ইতোমধ্যে অসংখ্য আইনজীবী ও কোর্টের কর্মর্কতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে মারাও গেছেন। বিচারকরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে করোনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কোর্ট খোলার আগেই দেশের সকল আদালত প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, প্রতিটি কোর্ট রুমের সামনে থার্মোমিটার, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, সাবান ও হাত ধোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ সারাদেশে কোর্ট পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে করোনাকালীন দেশের প্রতিটি আদালতের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে জীবাণুনাশক উপকরণের ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে একটি আবেদন করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার। কিন্তু সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ রিট দায়ের করা হলো।
এফএইচ/এমএসএইচ/এমএস