সাহেদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা
অডিও শুনুন
অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম মামলা আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পেশকার শুভ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। মামলার আসামি সাহেদ বাদীর দোকান থেকে বিভিন্ন সময় রড ও সিমেন্টসহ বিভিন্ন মালামাল নিতেন। মালামালের টাকা একসময় দাঁড়ায় তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মালামাল নিয়ে টাকা না দেয়ায় পৃথক দুটি মামলা করি তার নামে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরদিন উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয় র্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এরপর মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। আটজনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদসহ ৯ জন পলাতক।
এরই মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাহেদের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাসপাতালটি করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করতো। সরকারের সঙ্গে হাসপাতালটির চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে। সরকার এই ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তারা রোগীপ্রতি লাখ টাকার বেশি বিল আদায় করেছে। রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে এই মর্মে সরকারের কাছে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়। রিজেন্ট হাসপাতাল এ পর্যন্ত ২০০’র মতো কোভিড রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে।
জেএ/বিএ/পিআর/এমএস