আতিক উল্ল্যাহ হত্যার বিচার চেয়ে আদালত চত্বরে ছেলের মানববন্ধন
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ছেলে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ফারুক।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে সমর্থকদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন তিনি।
মানববন্ধনে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ফারুক বলেন,আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। সরকারের কাছে আমার একটাই চাওয়া, আমার বাবার হত্যাকারীদের যেন দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দেয়া হয়।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী হত্যার রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। কিন্তু মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আসামিরা তাকে হত্যা করে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে পুড়িয়ে ফেলে। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
পরে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, শম্পা, আশিক, শিহাব আহমেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন। এদের মধ্যে শম্পা, জাহাঙ্গীর ও আহসানুল কবীর কারাগারে। অন্য আসামিরা পলাতক।
জেএ/ইএ/এনএফ/পিআর