বিজয়পুর-ভবানীপুর বালুমহালের দরপত্র আহ্বানে বাধা নেই

নেত্রকোনার দূর্গাপুরে বিজয়পুর ও ভবানীপুর বালুমহালের দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এই দরপত্র আহ্বানের আর কোনো বাধা রইলো না।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেয়া এই আদেশের ফলে সরকারের ৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব রক্ষা পেল।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজি মো. আবদুর রহমানের করা আবেদন শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২ মার্চ) এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
একইসঙ্গে রুল জারি করেন আদালত। রুলে দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া স্থিতাবস্থার আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নাক্স বিডি কোম্পানির মালিক মোস্তাক আহমেদ রুহীসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে আজ নেত্রকোনার ডিসির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজি মাইনুল ইসলাম ও মো নাসিমুল ইসলাম।
এর আগে নেত্রকোনার দূর্ঘাপুরের বিজয়পুর ও ভবানীপুর থেকে বিরিশিরি বালুমহালের ইজারা দেয়ার জন্যে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) দরপত্র আহ্বান করেন (১৪২৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য)। পরে মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন নাক্স বিডি কোম্পানি সর্বোচ্চ দরদাতা (৩৩ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার) হিসেবে বিবেচিত হন।
কিন্তু আবার নতুন করে (১৪২৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য) যাতে ২০২১ সালে বালু মহাল নিয়ে দরপত্র আহ্বান না করতে পারে সে জন্যে শ্রম আদালত মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে ২৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত সেটি ফেরত দিয়ে দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, সরকার এবং সরকারের অধীনস্থ কোন অফিসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রযোজ্য নয়, তাই মামলার আরজি ফেরত দেয়া হলো।
এরপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন নাক্স বিডি কোম্পানি। ওই আবেদনে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলাটি গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে শুনানির জন্য রাখা হয়। একইসঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন আদালত। স্থিতাবস্থার ফলে নতুন বছরের জন্যে দরপত্র আহ্বান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরপর ওই স্থিতাবস্থা তুলে নেয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক। সেটি শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
এফএইচ/জেডএইচ/এমএস