পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ

চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম আগামী সাতদিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টিতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
লাইসেন্স ছাড়া এই তিন জেলার ইটভাটা পরিচালনা, পাহাড় কেটে মাটি ইটভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার এবং বনের গাছ কেটে জালানি হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট করে।
মনজিল মোরসেদ জানান, রিটের শুনানি শেষে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা আগামী সাতদিনের মধ্যে বন্ধ এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, এছাড়া লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত করে আদালতে দাখিলের জন্য তিন জেলার জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ অন্যদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
রুলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনার কারণে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর ধারা ৪, ৫, ১৪, ১৮ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের পরিচালক, তিন জেলার ডিসি, এসপিসহ মোট ২৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/এমআরআর/এএসএম