ফের জামিন আবেদন করব: হাজী সেলিমের আইনজীবী

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। এটি তিনি ভালো করেই জানেন। এটি তার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছেন বলেই আজ তাকে জেলে যেতে হলো। আর এতে তিনি একেবারেই বিচলিত নন।
রোববার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালত থেকে বেরিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হাজী সেলিম শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। তাহলে কিসের ভিত্তিতে তার চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, আপনারা সবাই জানেন, আজ থেকে পাঁচ বা সাত বছর আগে তিনি একটা দুঃখজনক ঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে আছেন। এই সমস্যা আমরা সবাই জানি। এজন্যই চিকিৎসার জন্য আমরা বলেছি। তাকে যেন হাসপাতালে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
তিনি বলেন, আদালতের দেওয়া আদেশের কপি আমরা শিগগির হাতে পাব। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আগামী রোববার আদালতে জামিন আবেদন করব।
এর আগে রোববার (২২ মে) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাজী সেলিম। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিম হাইকোর্টের নির্দেশে আজ আত্মসমর্পণ করিয়া জামিনের দরখাস্ত দাখিলপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে জামিনের প্রার্থনা করেছেন। পৃথক দরখাস্ত দাখিল করিয়া কারাগারে ১ম শ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ও কারাগারের তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নতমানের হাসপাতালে বেটার ট্রিটমেন্টের আদেশের প্রার্থনা করেছেন।
যেহেতু আসামি দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, সেহেতু আসামিকে জামিন প্রদান সঙ্গত মনে করি না। ফলে আসামির জামিনের প্রার্থনা নামঞ্জুর করা হইল। সাজা ভোগের নিমিত্তে সাজা পরোয়ানা মূলে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হোক।
আরএসএম/এমএইচআর/জিকেএস