প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চালককে মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ জুলাই

গাড়ির হর্ণ দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত চালক মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী কৌশিক সরকার সাম্যসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (সোমবার) মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চালক ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে চালক নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়তে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে দিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড় হতে টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছান তিনি।
ওই সময় আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলো। তখন গাড়িচালক নজরুল পেছন থেকে হর্ণ দিলে সাম্য উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে চালকের মুখে থুথু নিক্ষেপের পর গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন সাম্য।
এরপর সাম্যর পরিচয় জানার চেষ্টা করলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে নজরুলের মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরবর্তীতে তারা চালক নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
জেএ/এমপি/জিকেএস