সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: শিপনের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর বাড্ডায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি শিপনের (৩২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী ইশতিয়াক আলম জনি বিষয়টি জানিয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, শিশুরা যদি তাদের আশপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে তা সমাজের জন্য অশনিসংকেত। আসামি একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভিক্টিমের জীবনে কালিমা লেপন করেছে এবং তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। আসামির উক্ত কাজের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(২) ধারায় বর্নিত সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য। আসামিকে উক্ত ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দুপুরে কাজ থেকে আসামি শিপন বাড্ডায় তার ভাড়া বাসায় আসেন। এসময় ভুক্তভোগী শিশুকে দেখেন তার বাসার সামনে। তখন আসামি ভুক্তভোগী শিশুকে ভাত খাওয়ান। খাওয়া শেষে করেন ধর্ষণ। ভুক্তভোগী শিশু চিৎকার করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে রাখেন। শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামি তাকে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মেহেদী হাসান মামলা করেন বাড্ডা থানায়।
২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাশেদুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেএ/এমএইচআর/জেআইএম