মিতু হত্যা
পলাতক দুই আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন। পলাতক দুই আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু।
গত ১০ অক্টোবর মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে পলাতক আসামি মুসা ও কালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানান, মিতু হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামির ঠিকানায় গিয়ে তাদের খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ কারণে মামলার বিচারকাজ শুরুর আগে তাদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার এর আগে দাবি করেছিলেন, ঘটনার সপ্তাহখানেক পর তার স্বামীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর থেকে স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মিতু। পরদিন ৬ জুন মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।
ইকবাল হোসেন/বিএ/এএসএম