জঙ্গি ছিনতাই মামলার পাঁচ আসামি সাতদিনের রিমান্ডে

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ২০১৪ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে শামস, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ও সবুর ওরফে সাদ।
এদিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে পাঁচ আসামিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ মুসাদ্দিমুল হক। আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক মুসাদ্দিমূল হক উল্লেখ করেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মামলায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিরা কী উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল তা জানতে ও পলাতক আসামিদের শনাক্তকরণ এবং অর্থায়নের উৎস জানতে তাদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া একান্ত আবশ্যক।
২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত এবং সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আরাফাত ও সবুরকে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে।
জেএ/আরএডি/এএসএম