নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির আরও ৯ নেতাকর্মী রিমান্ডে

রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় বিএনপির আরও ৯ নেতাকর্মীকে দুদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন বিএনপির জামিল হোসাইন, হারুনুর রশীদ, রিয়াদ আহমেদ, রবিউল ইমরান, জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, মোস্তাক মিয়া, মাহাবুব মিয়া, খোরশেদ আলম সোহেল ও সোহাগ মোল্লা।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পল্টন থানার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এছাড়া বিএনপির আরও ১৪ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে আদালত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেন।
এর আগে মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর ১৪ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সাবেক এমপি সেলিম রেজার রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিএনপির সহ-জলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলুজ্জামানান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপি নেতা শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, সারোয়ার হোসেন শেখ, সাইদুল ইকবাল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, আল-আমিন, সাইফুল, শুভ ফরাজি ও মাহমুদ হাসান রনি।
কারাগারে যাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মকবুল হোসেন। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে নয়াপল্টন থেকে রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আমানউল্লাহ আমান, শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে পল্টন মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়া মতিঝিল থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ।
জেএ/জেডএইচ/জেআইএম