সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা
আগাম জামিন নিতে আসা দুই আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট
ছোটবোনকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। নরসিংদীর এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা দুই আসামিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার আসামিরা হলেন, নরসিংদীর মাধবদীর দীঘিরপাড় গ্রামের মো. মেহেদী (২০) ও একই গ্রামের সুজন (২১)।
আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলান তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন:
- চট্টগ্রামে কাজের খোঁজে আসা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
- ধর্ষণের বিচার না হওয়ার জন্য দায়ী ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয়
- ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে বলেন, ভুক্তোভোগীর জবানবন্দি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিদের জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। পরে তাদের শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তোভোগীর প্রতিবেশি। গতবছর ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ছোটো বোনকে খুঁজতে গিয়ে প্রতিবেশি, আসামি সুজনের বাড়ি যান ভুক্তোভোগী ওই নারী। কৌশলে তাকে ডেকে নিয়ে আসামি সুজন ও মেহেদি তার ওপর নির্যাতন চালান। আসামিরা সেই নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেহেদী ও সুজন এরপর মেয়েটিকে আরও নির্যাতন করেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ ভুক্তোভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় ভুক্তোভোগী নারী অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ৫ এপ্রিল মেহেদী ও সুজনসহ ৬ জনকে আসামি করে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নারীর পরিবার।
মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯ (৩) ধারায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে এসেছিলেন মেহেদী ও সুজন।
এফএইচ/এসএনআর/এমএস