ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিদেশি আইনজীবীতে আপত্তি নেই: তাজুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন গণহত্যা মামলার আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না বলেও জানান তিনি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিমের যা যা করা দরকার তা করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশন টিম কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালকদের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেবো দিন-রাত কাজ করতে।
তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে থাকা ভিডিও-ছবির জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার জন্যই এই উদ্যোগ। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা এই গণহত্যার বিচারের জন্য মুখিয়ে আছেন। সাক্ষীরাও আগ্রহী। আলামত তাজা থাকতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারে এই সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মমতার বিচার হওয়াই লক্ষ্য।
এর আগে বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল এবং দেশের বাইরে থেকে আসামিরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জাবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মধ্যে ইতিবাচক একটি আলোচনা আছে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা মনে করি আসামিপক্ষ যদি তাদের বেস্ট ডিফেন্স চায় দেশের বাইরের কোনো আইনজীবী আনতে চান আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই।
আমাদের প্রসিকিউশন থেকে এমন কোন বাধা নেই। তারা যে ধরনের আইনজীবী চান যাতে কোনো ডিফেন্ডেন্ট বা আসামিরা না বলতে পারেন যে বিচার প্রার্থীর এই সমস্যা ছিল সেই সমস্যা ছিল, এটা যাতে না বলতে পারেন। এর জন্যে সরকার যেমন সচেতন আছেন, আমরা প্রসিকিউশন টিমও সচেতন আছি।
তিনি জানান, আমরা গতকালও বলেছি বিচার শেষ হওয়ার পরে আসামিপক্ষ এবং বাদী উভয় পক্ষ বলতে পারেন যে এখানে সুবিচার হয়েছে। কারও প্রতি যেন কোনো অন্যায় না হয়। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা যা দরকার সবই করা হবে। কোনো গোপনীয়তা নেই। যে এতজনকে দণ্ড দিতে হবে এতজনকে খালাস দিতে হবে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এমএস