ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

খাতা পুনর্মূল্যায়নে ফেল করা ৩৪ শিক্ষার্থী পাস, গাফিলতির অভিযোগ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

নাহিদ হাসান, ঢাকা

প্রকাশিত ফলাফলে দেখানো হয়েছে অকৃতকার্য। তবে এই অকৃতকার্যের সংখ্যা গণহারে হওয়ায় করা হয় খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন। এতে ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে ৩৪ জন শিক্ষার্থীর। এমনটা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগে।

জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৮ সালের চতুর্থ বর্ষের ইংরেজি বিভাগের ফলাফল প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ওই ফলে গণহারে ফেল করেন শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজের মোট ৮৮৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৮৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ছিল ৩২ শতাংশ।

এর মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজেই ইংরেজি বিভাগের ২০৯ জনের মধ্যে শুধু ‘আমেরিকান পোয়েট্রি’ বিষয়ে ১০৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেন। এরপর বিভাগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ের খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাবি বরাবর আবেদন করে। এতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৪ জনকে কৃতকার্য দেখানো হয়।

সরকারি তিতুমীর কলেজর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী রাজিয়া সুলতানা বলেন, প্রথমদিন রেজাল্ট পাওয়ার পর খুব হতাশ লাগছিল এই ভেবে যে, ফেল করার মতো পরীক্ষা তো দেইনি। গ্রেড কম আসুক বা বেশি আসুক, ফেল অন্তত করব না। এখন আমাদের ৩৪ জনের ফল পরিবর্তন হলো। আমাদের ওপর প্রথমে ফেলের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার ফলে যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি সেটা অবর্ণনীয়।

খাতা মূল্যায়নের মতো এমন স্পর্শকাতর ব্যাপারে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থী৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সালেকা মাহমুদ বলেন, আমাদের বিভাগ থেকে আমরা প্রিন্সিপালের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছি। এতে আমার জানা মতে ৩৪ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।

প্রথমে ফেল পরে এত বেশিসংখ্যক পাস করলো। খাতা দেখায় গাফিলতি আছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালেকা মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এর সঙ্গে রিলেটেড তারা ভালো বলতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খাতা মূল্যায়নসহ সবকিছু মেনটেইন করে।

সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ বলেন, আমাদের পুনর্মূল্যায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফলের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা শুধু আমাদের কলেজের আবেদন করেছিলাম অন্য কলেজগুলোর কথা বলতে পারব না।

এদিকে, ঢাবির অধিভুক্ত ঢাকা কলেজেও ঘটেছে ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনা ৷ প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি বিভাগের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলেও ঘটেছে ব্যাপক বিপর্যয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে মাত্র ২৭-৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই এমন ভয়াবহ বিপর্যয়।

অবশ্য ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, এসব সমস্যা কাটিয়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফলাফলে কেন এমন বিপর্যয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীই না বুঝে ইংরেজি বিভাগ পছন্দ করে। ফলে পরে কোর্সগুলো করতে তাদের কষ্ট হয়ে যায়। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে এমন বিপর্যয় রোধ করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এ সব জিনিস নিয়ে রিপোর্ট করার কিছু নেই। কন্ট্রোলার এসব নিয়ে কথা বলবে না। আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার।

এসজে/জেআইএম