ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়াম বুধবার (২৯ জুন) দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন বিভাগের ডিন ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান। শুরুতে বিভাগের চেয়ারপারসন উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান।
প্রধান বক্তা ড. কাশেম তার গবেষণাপত্র ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস টু স্ট্রেনদেনিং বিট পুলিশিং ইন বাংলাদেশ: এ কেস স্টাডি অব ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটি’ উপস্থাপন করেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম এবং এর বিস্তৃত পরিধির ওপর আলোকপাত করেন। পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি শাখা ‘বিট পুলিশিং’-এর কার্যকর ভূমিকা এবং বিট পুলিশিং সম্পর্কে পুলিশ ও জনগণের ধারণার ওপর তার তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি ড. জিয়া রহমান বলেন, সামাজিক রূপান্তরের এ যুগে যেখানে ব্যক্তিকরণ ও স্বাতন্ত্র্যবাদের আধিক্য দেখা যায়, সেখানে কমিউনিটি পুলিশিং পারে পুলিশ এবং সমাজের সদস্যদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করতে।
পরে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নত্তোর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
এদিকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘ক্যারিয়ার ওয়ার্কশপ’-এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান।
এছাড়া দিনের শেষভাগে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ ও বাংলাদেশের সাইবার স্পেস নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোরিয়ান প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শকারী দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাঙ্গিয়ানকুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জিবুম কিম, হ্যালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইউনসিক জাকে জাঙ, সুউন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হান্সু কিম, কোরিয়ান ইনস্টিটিউট অব ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড জাস্টিসের পরিচালক হিউনুক চুন ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন সেন্টারের জুঙ্গন কিম এবং বাংলাদেশ সিআইডির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় সাইবার স্পেস নিরাপত্তার পাশাপাশি অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগে একটি অত্যাধুনিক ও আধুনিক মানসম্পন্ন ক্রাইম ল্যাব গঠনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। পরামর্শকারী দল ক্রাইম ল্যাব গঠনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগকে প্রযুক্তিগত ও অবকাঠামোগত সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এএএইচ/এএসএম