অধস্তন আদালত থেকে সাক্ষ্য পাঠানোর নির্দেশ কঠোরভাবে মানতে হবে

অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা অস্পষ্ট হাতের লেখা সম্বলিত কাগজাদির টাইপকপি সত্যায়িত করে পাঠানোর নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো নথিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য ও সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপকপি পাঠানোর বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে যত্নবান হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের ২০০৩ সালের ২০ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালত থেকে পাঠানো মূল নথির (এলসিআর) সঙ্গে সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখা সম্বলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদির টাইপকপি সত্যায়িত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরে হাইকোর্ট বিভাগের ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর ও ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তিতেও এ নির্দেশনা গুরুত্বসহকারে যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
নতুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বর্ণিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। ফলে অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানো মূলনথির (এলসিআর) সাক্ষীর সাক্ষ্য (জবানবন্দি ও জেরা) ও অস্পষ্ট হাতের লেখা সম্বলিত সংশ্লিষ্ট কাগজাদি অনেক সময় পাঠোদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় সঠিকভাবে পেপারবুক তৈরিতে বিলম্বসহ আদালতে মামলা শুনানিকালে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্থায় এ নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম