ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মসলিন শাড়ির ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে কাজ করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ১৬ মে ২০২৩

গবেষণার মাধ্যমে মসলিন শাড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে এই শাড়ি দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসে তা ব্যবহার উপযোগী করার কথা জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশলায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ঢাকাই মসলিনের সারাবিশ্বে কদর ছিল, যা বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর আগে হারিয়ে যায়। কিন্তু এই সরকার ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের জন্য ২০১৮ সালে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন> মসলিন শাড়ি সাধারণের ক্রয়ক্ষমতায় আনতে চায় সরকার

মন্ত্রী বলেন, একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসে ব্যবহার উপযোগী করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন আমাদের অংশীজনদের সঙ্গে মুসলিনের প্রযুক্তি ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান বিনিময় করতে পারি। এটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হলে, ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিনেরর মূল্য কমিয়ে আধুনিক ডিজাইনের ব্যবহার উপযোগী বহুমুখী কাপড় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সম্ভব হবে।

কর্মশলায় জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিন সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। পুনরুদ্ধারের কাজটি ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। ঢাকাই মসলিন ইতিমধ্যে জিআই স্বত্বের অনুমোদন পেয়েছে। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন> ১৭০ গ্রাম ওজনের জামদানি শাড়ি উপহার প্রধানমন্ত্রীকে

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধার এবং এখাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপত্বিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রমুখ।

জানা গেছে, ১২ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পটি গবেষকরা মাত্র ৪ কোটি টাকায় সম্পন্ন করেছেন। বাকি টাকা ফেরত দিতে চাইলে সরকার প্রকল্পটি সম্প্রসারিত করে ঢাকাই মসলিন হাউস তৈরির কাজকে এর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে আগামী জুনে। আর ‘ঢাকাই মসলিন বাণিজ্যিকীকরণ’ নামে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে আগামী জুলাই থেকে। সেটির মেয়াদ হবে তিন বছর। দেশের সাধারণ তাঁতীদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন হয়েছে।

এনএইচ/এসএনআর/এএসএম