শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে যা বললেন অধিনায়ক শান্ত

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শুভসূচনা করেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। কাগজে-কলমে শক্তিশালী বেক্সিমকো ঢাকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও, মাঠের লড়াইয়ে ঠিকই তাদের টেক্কা দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন রাজশাহী। ঢাকার ব্যাটিং ইনিংসে ১৯তম ওভারটি ছাড়া পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে তারা।
রাজশাহীর জয়ে মূল অবদান রেখেছেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস। পরে বল হাতে জাদুকরী শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ দলকে এনে দিয়েছেন ২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়। সবমিলিয়ে নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২২ রান খরচ করেন তিনি, যেখানে ছিল ১৫টি ডট বল ও ইয়াসির আলির উইকেট।
তবে মেহেদি ছাড়াও ব্যাট হাতে দারুণ অবদান ছিল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান (২০ বলে ৩৯), ডানহাতি ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনের (২৩ বলে ৩৫), পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন এবাদত হোসেন, মুকিদুল মুগ্ধরা। তাই ম্যাচশেষে এ জয়টিকে পুরোপুরি দলীয় সাফল্য হিসেবেই উল্লেখ করেছেন রাজশাহী অধিনায়ক শান্ত।
তিনি নিজে ভালো শুরু করেও আউট হয়েছেন ১৬ বলে ১৭ রান করে। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্তর ভাষ্য, ‘অবশ্যই এটা একটা আসাধারণ ম্যাচ ছিল। উভয় দলই খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু আমি মনে করি মেহেদি ব্যাটে বলে দারুণ খেলেছে, সোহানও ভালো করেছে। সর্বোপরি এটি একটি দলীয় সাফল্য এবং দলের পারফরম্যান্স খুবই চমৎকার ছিল।’
নিজেদের দলীয় পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি শুরুতে সোহান এবং মেহেদি খুবই ভালো ব্যাট করেছে। পাওয়ার প্লেতে ইমনও ভালো ব্যাট করেছে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় আমরা বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। আজকের ম্যাচ থেকে আগামী ম্যাচের জন্য শিক্ষা নিচ্ছি।’
প্রথম ম্যাচ জেতার পর এখন সামনে ব্যস্ত সূচি রাজশাহীর সামনে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও মাঠে নামতে হবে তাদের। যেখানে প্রতিপক্ষ যথাক্রমে জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। এ দুই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত আছে রাজশাহী, দলের কোনো ফিটনেসজনিত সমস্যা নেই বলে জানালেন অধিনায়ক শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সকলেই যথেষ্ঠ ফিট রয়েছে। কারণ গত কিছুদিন ধরে সকলে প্র্যাকটিসের সময় নিজেদের প্রস্তুত করেছে। দলের ফিটনেস নিয়ে আমি বেশ খুশি।’
এসএএস/এমএমআর/এমকেএইচ