খেলা শুরুর আগমুহূর্তেও মাঠে নেই রাজশাহীর কোনো বিদেশি ক্রিকেটার

ফরচুন বরিশাল আর সিলেট স্ট্রাইকার্সের মধ্যে হওয়া দিনের প্রথম ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের মিনিট দশেক আগে শেষ হয়ে গেছে। তারপর যথারীতি পরের ম্যাচের দুই দল রংপুর রাইডার্স আর দুর্বার রাজশাহী শেরে বাংলায় নেমে পড়লো ওয়ার্মআপের জন্য। কিন্তু অবাক ব্যাপার, রাজশাহীর লাইনআপে চোখে পড়লো না কোনো বিদেশিকে।
ওয়ার্ম আপ শেষে নক করা এং ক্যাচিং প্র্যাকটিসে দেখা মিললো না একজন ভিনদেশী ক্রিকেটারেরও। কী ব্যাপার! রাজশাহী কেন বিদেশিশূন্য হয়ে মাঠে? তবে কি আবার বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা? পেমেন্ট না পেয়ে কি এবার মাঠে নামতে নারাজ রাজশাহীর ভিনদেশী ক্রিকেটাররা?
রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মোহাম্মদ হারিস, রায়ান বার্ল, আফতাব আলম, মিগুয়েল কামিন্স একজনও ব্যাট ও বল হাতে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে প্র্যাকটিসে নামেননি। তবে কি তারা দলের সঙ্গে টিম বাসে করে শেরে বাংলায় আসেননি?
প্রেস বক্সে নানা প্রশ্ন, নানা গুঞ্জন। রাজশাহীর মিডিয়া ম্যানেজার ইশতিয়াক পারভেজ নিলয়ের কাছেও নেই কোনো উত্তর। খেলা শুরুর ৫০ মিনিট আগে রাজশাহীর মিডিয়া ম্যানেজারও বলতে পারলেন না বিদেশিরা টিম বাসে করে মাঠে এসেছেন কিনা।
যদি একজনও বিদেশি ক্রিকেটার না খেলেন, তাহলে কি রাজশাহী খেলতে পারবে? বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন কী বলে? প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, একাদশে সর্বোচ্চ চারজন অথবা অন্তত ২ জন বিদেশি রাখা বাধ্যতামূলক। তবে জানা গেছে, রাজশাহী বিশেষ কারণ দেখিয়ে বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেলার অনুমতি নিয়েছে।
এদিকে জানা গেছে. আজ রোববার দুপুরে ২৫ শতাংশ পেমেন্টের চেক পেয়ে হাসিমুখে টিম বাসে উঠেছেন রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ, এনামুল বিজয়রা। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটাররা ডাউন পেমেন্ট পেলেও বিদেশিরা তাদের পাওনা না পাওয়ায়ই হয়তো টিম বাসে করে দলের সঙ্গে মাঠে আসেননি। দেখা যাক, রাজশাহী শেষ পর্যন্ত কীভাবে একাদশ সাজায়!
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম