সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি ডিআরইউর
অবিলম্বে দেশ টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ওরিয়ন গ্রুপের করা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিআরইউ আয়োজিত এক মানববন্ধনে নেতারা এই দাবি জানান।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ওরিয়ন গ্রুপের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি চাইলে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করে প্রতিকার চাইতে পারেন। তা না করে মামলা করা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা মাত্র। অবিলম্বে হত্যা মামলাও প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলেন তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের কাজ। মামলা করে, তলব করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আমরা সাংবাদিকদের পাশে সবসময় আছি। প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে কোনো সাংবাদিককে তলব করা যায় না। দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে হলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বেশি করে প্রতিবেদন করতে হবে। এই মামলা খারিজ করে দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউ সভাপতি শুকুর আলী বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে মানহানি মামলা ও তলব করা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। এছাড়া হত্যা মামলাও হচ্ছে। যারা জড়িত নন তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
দেশ টিভির সাংবাদিক ফারুক হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ৭০০ কোটি টাকা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহমুদ শরীফসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছে ওরিয়ন গ্রুপ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক কালবেলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাকির হোসেন লিটনকে সংবাদ প্রকাশের জেরে তলব করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ও সংবাদ প্রকাশের জেরে তলবের প্রতিবাদ জানাতে ডিআরইউ চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন ও কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও মো. শরীফুল ইসলাম।
আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি শারমীন রিনভী, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি শামীমা আক্তার, ডিআরইউর সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সহযোগী সম্পাদক শামীম জাহেদী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদ শরীফ ও শাহেদ সিদ্দিকী, ডিআরইউ সদস্য গাজী আবু বকর, মেহ্দী আজাদ মাসুম, সৈয়দ আখতার সিরাজী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এনএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস