চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, কারাগারে যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
কারাগারে যাওয়া যুবক মাজেদুল ইসলাম

চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মাজেদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল গালিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাজেদুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ মোল্লাবাড়ী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে। তিনি মামলার দুই নম্বর আসামি।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল গালিব বলেন, মাজেদুল ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নাকোচ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। আসামি হাইকোর্টের আদেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে আদালত বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন। আদালতের এই আদেশ ব্যবসায়ী মহলে যারা নীরব চাঁদাবাজি করছেন তাদের জন্য সর্তকবার্তা হিসেবে কাজ করবে।

জানা যায়, এই মামলায় প্রধান আসামি ইফতেখারুল করিম চৌধুরী এখনো পলাতক। তার বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা আছে। এছাড়া তিনি নিজেকে ‘দৈনিক মুক্ত খবর’ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে মাদক, অস্ত্র চোরাচালান ব্যবসা এবং চাঁদাবাজী চক্রের সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। খাতুনগঞ্জের অনেক ব্যবসায়ী তাদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের ফাঁদে পাড়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার-কর্মচারীদের একেক সময় একেক কথা ও বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ও মাজেদুল ইসলাম। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইফতেখারুল করিম চৌধুরী ক্যামেরাম্যান নিয়ে মোসলেম উদ্দিনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন, মামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির হুমকি দিয়ে আসেন। একই সঙ্গে এক কোটি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে গত ৩ মার্চ মাজেদুল ইসলাম বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান এবং নিজেকে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক পরিচয় দেন। মাজেদুল বাদীকে নিউজ করার হুমকি দেন এবং নিউজ না করার জন্য ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদী ও সাক্ষী আবু ছালেহ, হুমায়ুন কবির ভূইয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

গত ১৫ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট। সংস্থাটির পরিদর্শক সত্যজিৎ বড়ুয়ার করা তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাদাবি ও হুমকির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

এমআরএএইচ/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।