করোনা শনাক্তে বাংলাদেশকে ১০ হাজার কিট দিচ্ছে চীন
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশকে ১০ হাজার কিট দিচ্ছে চীন। পাশাপাশি ১৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এন-৯৫, ১০ হাজার চিকিৎসক ও নার্সের সুরক্ষায় গাউন এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিচ্ছে দেশটি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি নোট ভারবাল (আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক পত্র) দিয়েছে তারা। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নোট ভারবালে চীন জানিয়েছে, ওই সহায়তা সামগ্রী ঢাকা পর্যন্ত নিজ খরচে পৌঁছে দেবে তারা। তবে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এবং বিমানবন্দর থেকে যথাযথ স্থানে (গোডাউন) পৌঁছানো ও বিতরণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (যথাযথ তাপমাত্রার) বিশেষায়িত পরিবহন বাংলাদেশকেই নিশ্চিত করতে হবে। এসব সামগ্রীর সংরক্ষণ এবং পরিবহনে যথাযথ তাপমাত্রা নিশ্চিতেও অনুরোধ করা হয় নোটটিতে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। দিনে দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন।
চীন পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দিয়ে উঠলেও হিমশিম খাচ্ছে ইতালি-স্পেনসহ গোটা ইউরোপ। এই অবস্থার মধ্যে গত বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানোর আগ্রহ জানায় চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বার্তায় বেইজিং জানায়, বাংলাদেশের মানুষের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বের পরীক্ষা দিতে সক্ষম হবে চীন। এজন্য ঢাকাস্থ চীন দূতাবাস নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে।
এর আগেও করোনাভাইরাস শনাক্তে বাংলাদেশকে ৫০০ কিট উপহার দেয় চীন। ফেব্রুয়ারিতে এসব কিট বাংলাদেশে পৌঁছায়।
তার আগে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সমবেদনা প্রকাশ করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি চীন সরকারকে মাস্ক, গ্লাভস উপহার দেয় বাংলাদেশ।
জেপি/এইচএ/এমএস