করোনা : পরিবারপ্রতি নিত্যপণ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিল প্রশাসন
করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে বাড়তি দামেই চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ করে রাখছেন। যার প্রভাবে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি হতে পারে। এই অবস্থায় পরিবারপ্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সফি উল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে পণ্যের এ পরিমাণ নির্ধারণ করে দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি পরিবারের বাজারকারী প্রতিবাজারে ১ বস্তা চাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি ছানাবুট, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল এবং ১ কেজি রসুন কিনতে পারবেন।
যদি নির্ধারণ করে দেয়া পরিমাণের বেশি পণ্য কোনো ব্যক্তি কেনেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে হবেও সতর্ক করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে যেন সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অতিরিক্ত না কেনেন সেজন্য সেটি করা হয়েছে। একজন মানুষ যদি অতিরিক্ত পণ্য কেনেন তাহলে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দিরাই উপজেলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। একটু পরে বাজার মনিটরিং টিমের সাথে বৈঠকে বসব, যেন কোনো উপায়ে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়তে পারে।
এদিকে সুনামগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন না বাড়ে সেজন্য প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি করছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের প্রতিটি বাজার ঘুরে দেখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন নাহার রুমা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জাগো নিউজকে বলেন, অসাধু চক্রের ছড়ানো আতঙ্কে ক্রেতারা যেন বাজার থেকে অতিরিক্ত পণ্য কিনতে না পারেন, সেজন্য এটি (বিজ্ঞপ্তি) হয়তো দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমাদের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে সবসময়। করোনাভাইরাসকে কাজে লাগিয়ে যেন কোনো ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকেও নজরদারি করা হচ্ছে।
মোসাইদ রাহাত/এইচএ/পিআর