স্টেশনে বাড়ি ফেরার ভিড় বাড়লেও অপর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ২১ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ রাজধানীর ঘনবসতি এড়াতে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটছেন। তবে এদের সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক দেখা গেছে। কেউ একটু হাঁচি কিংবা কাশি দিলেই চমকে তাকিয়ে দেখছেন পাশে থাকা অন্য যাত্রীরা। এ কারণে তৈরি হয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতি।

শনিবার (২১ মার্চ) ভোরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া নীলসাগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে মোটামুটি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আতঙ্কের মধ্যেই তারা ঢাকা ছাড়ছেন। এ সময় ট্রেনের মতো একটি গণপরিবহনে ভ্রমণ করা ঠিক কি না এই সংশয়ের মধ্যেও তারা ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

train-2.jpg

অন্যদিকে, কমলাপুর স্টেশনে যাওয়া যাত্রীদের কয়েকজনকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ মনে হলে যন্ত্র দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীদের তুলনায় এই ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল ও দায়সারা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সকালবেলা কিছুক্ষণের জন্য যাত্রীদের ব্যাগ জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্প্রে করা হলেও পরে তা বন্ধ রাখা হয়। অনেক খোঁজ করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্যানিটাইজার দেয়া রেলওয়ে কর্মচারী আবদুল মোবিন জানান, তারা তিন শিফটে যাত্রীদের স্যানিটাইজার দিচ্ছেন।

জামালপুরগামী তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী সাবেক খাদ্য পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, ঢাকায় তিনি অবসর সময় কাটাচ্ছেন। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তার এখন অনেক সময়। তবে ঢাকায় থাকা তার জন্য এখন অনেকটাই বিপজ্জনক। এ জন্য তিনি জামালপুরে যাচ্ছেন।

train-2.jpg

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন শিখা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে গণপরিবহন ব্যবহার করে যাতায়াত করা খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে আমার বাড়ি যেতে হচ্ছে। সরকার যদি ট্রেনগুলোকে জীবাণুমুক্ত রাখে তাহলে সবার জন্য সুবিধা হবে। স্টেশনে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার দেয়া হলেও তা খুবই অপ্রতুল। কাউকে শুধু এক হাতে দেয়া হচ্ছে। আবার একজনকে দিতে গেলে আরেকজন চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে এই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এখন পর্যন্ত দেশে ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে এ ভাইরাসে। আর প্রাণহানি হয়েছে একজনের।

এইচএস/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।