করোনার সংক্রমণ এড়াতে অপ্রয়োজনীয় কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান
দেশের কারাগারগুলোতে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা থাকলেও বাস্তবে তার তিনগুণ বা বর্তমানে প্রায় ১ লাখ কারাবন্দি রয়েছে জানিয়ে অপ্রয়োজনীয় কারাবন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-বিএইচআরসি।
সোমবার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
বিএইচআরসি বলেছে, করোনাভাইরাসের ভয়ংকর আক্রমণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কগ্রস্ত। বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রের সরকার লোকসমাবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে সভা-সমাবেশ, যোগাযোগ এমনকি আদালতে লোকসমাগম ও বাজার-ঘাটে ভিড় এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
‘কিন্তু প্রতিটি কারাগারে নতুন করে প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি বন্দির আগমন-নির্গমন ঘটছে। কারাগারগুলোতে যেকোনো সময়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারাধীন সব বন্দিদের জরুরি জামিন মঞ্জুর করে এবং কয়েদিদের মধ্যে যাদের অর্ধেক সাজা খেটেছে তাদেরকে মুক্তি প্রদান খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।’
সংগঠনটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, কারাগারগুলোর বিষয়ে সরকার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে করোনাভাইরাস যেকোনো সময় মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কারাগারগুলোতে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলছে বিএইচআরসি। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে করোনাভাইরাসের ভয়ংকর আক্রমণ এড়াতে অপ্রয়োজনীয় কারাবন্দিদের কারাগার থেকে জরুরি মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।
কারাগারগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে বিএইচআরসি।
এসআর/পিআর