পরিবহনও চলছে মানুষও পথে নেমেছে তবে ‘গণ’ নয়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হলেও রাজধানীতে সীমিত চলছে। মানুষও পথে নেমেছেন, তবে বেশি না।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালতে। ছোটবড় শপিংমল, মার্কেট, হোটেল ও রেস্টুরেন্টও বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আজ থেকে রাস্তাঘাটে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সে হিসাবে আজ (২৫ মার্চ) রাজধানীতে জন ও যান চলাচল একেবারেই কমে যাওয়ার কথা। বাস্তবে রাজধানীতে জন ও যান চলাচল বন্ধ হয়নি। সবই চলছে। সবাই চলছেন। তবে গণহারে নয়। গাড়িও চলছে সীমিত এবং মানুষ চলছেন একা।
জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি, লালবাগ, রমনা, তেজগাঁও ও শেরে বাংলানগর থানা এলাকা ঘুরে দেখেছেন এসব এলাকায় সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। কোথাও কোথাও স্বল্পসময়ের জন্য যানজটও লেগে আছে! তবে সবচেযে লক্ষণীয় হলো- জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারাই বাইরে বের হয়েছেন তারা কেউ দলবেঁধে বের হননি। অধিকাংশ মানুষ মুখে মাস্ক পরে একা একা পথ চলছেন। তবে একা একা চলা মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
ফার্মগেট এলাকায় মাসুদ নামে এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি খামারবাড়িতে অবস্থিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ছুটি ঘোষণা করা হলেও তাদের অফিসে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এ কারণে তিনি অফিসে এসেছেন।
কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিরেন গার্মেন্টসকর্মী রানু বেগম। মহাখালীর একটি গার্মেন্টস কারখানার এই অপারেটর জানান, তাদের গার্মেন্টস মালিক গতকাল জানিয়েছেন, গার্মেন্টস সরকারি ছুটির আওতায় পড়েনি। তাই সাতসকালে গার্মেন্টসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তবে রাস্তাঘাট খালি থাকায় অল্প সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারবেন, এ কারণে তিনি খুশি।
আজিমপুর এলাকা থেকে ভিআইপি, নীলাচল, সেফটি, বিকাশ ও একুশ নামে বেশকিছু গণপরিবহন অবাধে চলতে দেখা গেছে। বাসচালকরা জানান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হলেও তাদের নাকি অফিসে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এসব লোকের জন্যই তারা গণপরিবহন পথে নামিয়েছেন বলে জানান।
রাজধানীর অধিকাংশ হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু মিষ্টির দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। ঢাকা কলেজের বিপরীত দিকে দুটি মিষ্টির দোকানে বেশ ভিড় দেখা যায়। এ এলাকার সব হোটেল বন্ধ থাকায় সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য মানুষ এ দোকানে ভিড় জমান। মিষ্টির দোকানের কর্মচারী পরোটা ভেজে নামাতে না নামাতে কাস্টমাররা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কেউ মিষ্টির দোকানে বসে নাস্তা খাচ্ছিলেন, আবার কেউবা কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম