করোনা সতর্কতা : যেসব নির্দেশনা দিলো নৌ মন্ত্রণালয়
করোনা ভাইরাসজনিত (কোভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। ২৪ মার্চ এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এসওপি’র কার্যক্রম গুলো হলো
১. প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইইডিসিআর কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
২. দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত ভাব বিনিময়ের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৩. হ্যান্ড স্যানিটাইজার-মাস্ক-গ্লাবস-সাবান ইত্যাদি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করবে।
৪. অহেতুক আলাপ-আলোচনা, খোশ গল্প থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। বিনা কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা একত্রিত হবে না।
৫. দরজার লক, হ্যান্ডেল, সিটকিনিসহ বাথরুম, টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব হাইজেনিক নিয়ম মেনে চলবে।
৬. বর্তমানে প্রচলিত দরজার লক, হ্যান্ডেল, সিটকিনি পরিবর্তন করে ওয়ান টাচ সিস্টেম লক স্থাপনের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠাতে হবে।
৭. কর্মকর্তারা যথাসম্ভব ইন্টারকম, টেলিফোনে যোগাযোগ করবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ যথাসম্ভব পরিহার করবে।
৮.দফতর, সংস্থাসমূহ দাপ্তরিক কাজ এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রতিদিন পাঠাবে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে বাড়িতে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে নির্দেশাগুলো হলো,
১. দফতর, সংস্থাসমূহ ইফাইলিংয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
২. কর্মকর্তারা প্রয়োজনে নিজ বাসায় অবস্থান করে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করবে।
৩. ই-মেইল এবং টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে।
৪. জরুরি কার্য সম্পাদনের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে (কন্ট্রোল রুম এর টেলিফোন নম্বর: ৯৫৪৬০৭২)।
৫. অধিশাখা/শাখা কর্মকর্তারা স্ক্যানার ব্যবহার করে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দাপ্তরিক কার্য নিষ্পত্তি করবেন।
৬. জারিকৃত জরুরি নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এইউএ/জেএইচ/পিআর