‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বাংলাদেশে হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বাংলাদেশে হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আইইডিসিআরের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিমিটেড লোকাল বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সারাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে এটি বলা যাবে না। এটা ঘোষণা দেয়ার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমাদের তথ্য দেখাতে হবে। কিন্তু লোকাল ট্রান্সমিশন বাংলাদেশে হয়নি।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, লিমিটেড স্কেলে যে এলাকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে। এমনটি ভেবেই আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রণ-প্রতিরোধ করার জন্য কার্যক্রম নিয়েছি। তবে দেশব্যাপী এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এছাড়া দুটো জায়গায় সোর্স অব ইনফেকশকটা নিশ্চিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরেও করোনার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮২ জনের। নতুন কেউ আক্রান্ত হননি। আমরা ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। অনেকের কাছে এ সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুসারে পরীক্ষা করছি।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব বিভাগীয় হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দীসহ রাজধানীর বেশকিছু হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে এ ব্যবস্থা রাখা হবে।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। অন্যদিকে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও দুজন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন সাতজন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আরও ৮২ জনের। এদের মধ্যে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। ফলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ ই থাকলো। তবে আগে থেকে যারা আক্রান্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন বুধবার সকালে মারা গেছেন। তার বয়স ছিল ৬৪ বছর। তিনি উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। বিদেশফেরত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে থেকে গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ মার্চ তাকে রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে বর্তমানে করোনা নিশ্চিত বা সন্দেহভাজন এমন ৪৭ জন আছেন আইসোলেশনে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৭ জন।

এএস/এমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।