ঢামেক হাসপাতালে গত ১২ ঘণ্টায় মাত্র ৪১ রোগী ভর্তি
করোনা আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে দেশের অন্যতম বড় সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আগে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিত। দিনে পাঁচ শতাধিক রোগী ভর্তি হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা এক-চতুর্থাংশের নিচে নেমে এসেছে।
সরকার ঘোষিত টানা ১০ দিনের ছুটিতে (২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ায় এবং করোনা সংক্রমণের ভয়ে নগরীর বাসিন্দারা ঘরে অবস্থান করায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারি ছুটির দিনে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারে রোগীর ভিড় নেই। আগে যেখানে আগত রোগীর নাম-ঠিকানা লিখতে লিখতে টিকিট কাউন্টারের লোকজন দম ফেলার সুযোগ পেতেন না, সেখানে আজ তাদের চেয়ারে বসে তন্দ্রা চোখে দেখা গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ সকলকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত টিকিট বিক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে মাত্র ১৯১ জন রোগী এসেছেন। এর মধ্যে মাত্র ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ঈদের ছুটিতেও এত কম রোগী হয় না বলে তিনি জানান।
পরিদর্শনে দেখা গেছে, হাসপাতালজুড়ে সুনসান নীরবতা। করোনা আতঙ্কে গত কয়েক দিনে অধিকাংশ রোগী হাসপাতাল থেকে স্বেচ্ছায় রিলিজ নিয়ে চলে গেছেন।
বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বেড ফাঁকা পড়ে আছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ওয়ার্ডবয়রা পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) পরিধান করে বসে আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চিকিৎসক ও নার্স বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে ডিউটি করছি। কেউ কেউ ভয়ে ছুটিতে চলে গেছেন।’
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দেশে আক্রান্ত ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। প্রাণ গেছে পাঁচজনের।
বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ২২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসে।
এমইউ/এফআর/এমকেএইচ