করোনায় ফাঁকা ঢাকা, উন্নত হয়েছে বায়ুর মান
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় রাজধানী ঢাকা ছেড়ে বেশিরভাগ মানুষই গ্রামে চলে গেছেন। এতে এখন অনেকটাই ফাঁকা ব্যস্ত নগর ঢাকা। সবমিলিয়ে, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ যাচ্ছে না, কেউ অফিসের দিকে ছুটছে না। যানবাহনসহ বন্ধ রয়েছে কলকারখানা। কর্মব্যস্ত দিনে মানুষের কর্মচঞ্চলতায় আর যানবাহনের ভিড়ের কারণে ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা সারাবেলা বায়ু দূষিত হতো উঠত। তবে করোনার কারণে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।
ঢাকার বায়ুর মান কিছুটা উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের রিয়েলটাইম বায়ুর মান সূচক অনুযায়ী, শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ঢাকার বায়ু মান ছিল ১৪৪ পিএম২.৫। বায়ুর এ মানের কারণে সুস্থ মানুষের অসুস্থ বা ক্ষতি হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যারা এ সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকারক।
এর আগেও, করোনার কারণে মানুষের কর্মচঞ্চলতা না থাকায়, যানবাহন চলাচল না করায় এবং ঢাকা ছেড়ে অনেকের গ্রামে যাওয়ার কারণে যে রাজধানীর বায়ুর মান উন্নত হয়েছে।
এ বায়ু মান সূচকের তথ্যানুযায়ী, ঢাকায় আজকে (২৮ মার্চ) বায়ুর গড় মান ১৬৮ পিএম২.৫। চলতি বছরেরই ২৮ ফেব্রুয়ারিতে বায়ুর গড় মান ছিল ১৯২ পিএম২.৫ এবং ২৮ জানুয়ারি ছিল ২৬৫ পিএম২.৫। এছাড়াও ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ঢাকায় বায়ুর মান ছিল ১৮৩ পিএম২.৫, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ ছিল ১৫১ পিএম২.৫, ২০১৭ সালে ১৬৩ পিএম২.৫ এবং ২০১৬ সালে ছিল ১৬০ পিএম২.৫।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইকিউ এয়ারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ২১তম। সবচেয়ে দূষিত দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী স্থবিরতা বিরাজ করছে। কলকারখানা বন্ধসহ অনেক দেশে লকডাউন ও কারফিউ চলছে। বেশ কয়েকটি দেশে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তবে এ কারণে বিশ্বব্যাপী বায়ু মান উন্নত হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, সারা বিশ্বেই কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক হারে কমেছে।
পিডি/এফআর/এমএস