এ যেন অচেনা এক সদরঘাট
দিন-রাত লোকে সরগরম, জায়গা থাকে না পা ফেলার! মানুষ আর যানবাহনে ভিড় লেগেই থাকে। তবে আজকের চেহারা অন্যরকম। মানুষ-যানবাহনের ভিড় নেই বললেই চলে। চারদিক ফাঁকা। ঘাটে ভিড়ে আছে লঞ্চ-স্টিমার। এ যেন অচেনা এক সদরঘাট।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে গত বুধবার থেকে সদরঘাটের সবকিছু বন্ধ।
রাজধানী ঢাকার অতি গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে বাদামতলীতে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি ফলের আড়ত। দক্ষিণবঙ্গে যাওয়ার জন্য রয়েছে লঞ্চঘাট। দেশের দর্শনীয় স্থান আহসান মঞ্জিল। ইসলামপুরে দেশের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের দোকান। আজ সবই বন্ধ। লোকজনের চলাচল তেমন একটা নেই। ফাঁকা রাস্তা।
সদরঘাট, বাদামতলী, ইসলাপুর, লঞ্চ টার্মিনাল, আহসান মঞ্জিল, বাবুবাজার ঘুরে দেখা যায়, লোকজন তেমন নেই। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না।
বাদামতলীর ফলের ব্যবসায়ী সুমনের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে আমাদের ফলের আড়ত বন্ধ। এখন বসে বসে সময় পার করছি। দু-একটি দোকান খোলা আছে। তারা আগের কেনা ফল বিক্রি করছেন।
এমডি-৩ এর লঞ্চের কর্মচারী রাফাত সিকদার বলেন, লঞ্চ বন্ধের কারণে চার দিন ধরে এখানেই আছি। কষ্টে দিন পার করছি। কবে যে এই সংকট থেকে রক্ষা পাব, আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সুন্দরবন লঞ্চের কর্মচারী জাহের উদ্দিন মানিক বলেন, চারদিকে খাবারের হোটেল বন্ধ। চারদিন ধরে লঞ্চের মধ্যে আছি। অনেক কষ্টে দিন পার করছি।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আগে যা ছিল তা-ই আছে। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও চারজন। এই নিয়ে কোভিড১৯ সংক্রমিত মোট ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা ৫ জনই আছে।
বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৫ জন। ২৭ হাজার ৩৬০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬০ জন।
জেএ/জেডএ/এমকেএইচ